শরীর ফিট রাখার উপায়,মেনে চলুন এই ৬ টি টেকনিক,সুস্থ থাকার উপায়,নিজেকে ফিট রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম,


শরীর ফিট রাখার উপায়,মেনে চলুন এই ৬ টি টেকনিক,সুস্থ থাকার উপায়,নিজেকে ফিট রাখতে মেনে চলুন এই নিয়ম।


একজন মানুষকেই তখনই ফিট বলা যায় যখন তার শরীর ও মন- দুটোই সুস্থ থাকে । আর তার জন্য মেনে চলা দরকার কিছু নিয়মকানুন , যত্ন নিতে হয় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর । আর শরীর সুস্থ থাকলে মন ও ভালো থাকবে । চলুন জেনে নিই , ফিট থাকার প্রধান ৬টি উপায় ।


যে বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে


হৃৎপিণ্ড বা হার্ট এর যত্নঃ

কিডনির যত্নঃ

পেটের দিকে খেয়াল রাখুনঃ

নিয়মিত শরীরচর্চাঃ

সুস্থ যৌনজীবনঃ

পুরোনো অভ্যাস পরিবর্তনঃ



হৃৎপিণ্ড বা হার্ট এর যত্নঃ

প্রতিদিন অন্তত ১০/১৫টি পুশ আপ বা বুকডন হৃৎপিণ্ডর কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলবে । হৃদরোগ বিশেষেজ্ঞদের মতে,  প্রতিদিন প্রতিবেলায় বিভিন্ন রংয়ের ফল ও সবজি এবং যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার, পানি, আপেল ও আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, ডাল এবং ডিমের হলুদ অংশ খাওয়া খুব দরকার, কেননা এগুলোই আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ সবল রাখে ।


কিডনির যত্নঃ

প্রথম কথা হলো, অতিরিক্ত লবণ কিডনির ক্ষতি করে। তাই লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত । মূলত  ডায়াবেটিস থেকেই কিডনির নানা সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিস রোধ করতে তাই  ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন। আবার খেলাধুলা, হাঁটাচলা, ব্যায়াম ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এবং কিডনীকে ভালো রাখে ।  কিডনি পরিষ্কার রাখতে দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। 


পেটের দিকে খেয়াল রাখুনঃ

আমাদের শরীরের গ্রহণ করা খাবারগুলো সহজপাচ্য বস্তুতে পরিণত করে পেটের ভেতরে অবস্থিত অন্ত্র। সেখানে সমস্যা দেখা দিলে সবই এলোমেলো হয়ে যায় তাই শরীরকে ফিট রাখতে হলে অবশ্যই পেট ঠিক রাখতে হবে। তাই হাঁটাচলা, শষ্যদানা, বিচি, সাদা দই, শাকসবজি, ফলমূল ও সুষম খাবার গ্রহণ খুবই দরকার। আবার পায়ের মাংসপেশি শক্ত করতে ও ফিট থাকতে হাঁটাহাঁটির কোনো বিকল্প নেই। হাঁটা যে-কোনো মানুষকেই  ফিট রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে , তার বয়স যেমনই হোক না কেন ।


নিয়মিত শরীরচর্চাঃ

 সকালে বা বিকালে নূন্যতম আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করতে হবে , এ ছাড়া শারীরিকভাবে সুন্দর হওয়া সম্ভব নয়। যারা অফিসের কারণে একেবারেই সময় পান না , তারা অন্তত রাতে খাওয়ার পর আস্তে আস্তে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করবেন । এতে হজম হওয়ার পাশাপাশি পেটের মেদ কম থাকবে ।  


সুস্থ যৌনজীবনঃ

সুস্থ যৌনজীবন একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের ফিট থাকার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান । আজকালকার ব্যস্ত জীবনে অতিরিক্ত মানসিক চাপে অনেকের এনার্জি থাকে না তথা যৌনজীবন ব্যহত হয় । তাই খাওয়া-দাওয়া আর ব্যায়ামের পাশাপাশি যৌনজীবনকে সুখকর করতে বিভিন্ন বীজ, তরমুজ, বেদানা, ডুমুর, ডিম ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করা বিশেষ প্রয়োজন । বিশেষত, তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে ।


পুরোনো অভ্যাস পরিবর্তনঃ

সুস্বাস্থ্য ও ফিগারের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। তাই রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে তার  এক থেকে দুই ঘন্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে সুবিধা হবে এবং এই দুইটা অভ্যাসই শরীরকে দারুণ ফিট রাখে । নিয়মিত গোসল করা , খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া , নখ কাটা- এসব তো সবার জানা ই আছে । ধূমপান ও মদ্যপান অবশ্যই পরিত্যাজ্য ।


এছাড়া ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মাঝেমাঝে মুভি দেখা , গান শোনা ,কোথাও ঘুরতে যাওয়া , বন্ধুদের সাথে কিছু সময় আড্ডা দেয়া বা নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করা, ধ্যান করা ইত্যাদির যে কোন দু’তিনটি নিয়মিত করা উচিত ।

Tags

إرسال تعليق

0 تعليقات
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies