শিশুকে চুমু খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন, অযথা মুখে চুমু খেলে প্রাণঘাতী রোগ আক্রান্ত হবে আপনার শিশু

 

শিশুকে চুমু খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন, অযথা মুখে চুমু খেলে প্রাণঘাতী রোগ আক্রান্ত হবে আপনার শিশু

শিশুকে চুমু খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন, অযথা মুখে চুমু খেলে প্রাণঘাতী রোগ আক্রান্ত হবে আপনার শিশু

বাচ্চাদের দেখলে কে না আদর করতে চায়। শিশুদের কোলে নিয়ে বা জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়া আদরের সাধারণ বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু এই চুমুই শিশুর জন্য হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। একটি চুমুতেই সংক্রমিত হতে পারে আদরের সন্তান। চিকিত্সকদের পাশাপাশি ভুক্তভোগী বাবা-মায়েরাও শিশুদের মুখে চুমু না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে থাকেন। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির একটি শিশু জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়েছিল। কিনসবার্গের আরিয়ান ডিগ্রিগোরিওর শিশুসন্তান অ্যান্টিনিও চুমুর কারণে আক্রান্ত হয়েছিল রেসপিরেটোরি সিনসিটিয়াল ভাইরাসে (আরএসভি)। আক্রান্ত হওয়ার পর শিশুটিকে বাঁচাতে একপ্রকার লড়াই করতে হয় তার পরিবারকে। এরপর অ্যান্টিনিওর মা আরিয়ানা নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে শিশুদের চুমুর বিষয়ে সতর্ক করেন। সাধারণত ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত কেউ শিশুদের চুমু খেলে এ আশঙ্কা তৈরি হয়। বড়োদের জন্য সামান্য ঠান্ডা জ্বর কোনো সমস্যার কারণ না হলেও এই ধরনের রোগে আক্রান্ত কেউ শিশুদের চুমু খেলে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়।

বছর দুই আগে যুক্তরাষ্ট্রে এমনই চুমুর কারণে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ দিন বয়সি একটি শিশুর। সেই সময়ে সেই ঘটনা বেশ আলোচিত হয়েছিল। সুস্থ-সবল হয়ে জন্ম নিলেও মাত্র ১৪ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় শিশুটির। তার বয়স যখন মাত্র ১০ দিন, তখন এক বহিরাগত আদর করে তার গালে চুমু দিয়েছিল। সেই চুমুই তার শরীরে জীবাণুর বাসা হয়ে উঠেছিল। হার্পস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল শিশুটি। আক্রান্ত শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোমায় ছিল। 

ঐ সময় অবশ্য ডাক্তার বলেছিল, যদি সে এই যাত্রায় বেঁচেও যায়, তবে ভবিষ্যতে তার মস্তিষ্কের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হার্পস শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ রোগে কেউ আক্রান্ত হলে প্রথমে তার ত্বকে ফোসকা দেখা দেয়। পরে এ ফোসকা ঘাতে রূপ নেয়। পরবর্তীতে এ ঘা পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। 

ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বলছে, এ রোগে আক্রান্ত প্রতি তিন জনে একজন শিশু মারা যায়, যতই তাদের চিকিত্সা করানো হোক না কেন। এটি তাদের মস্তিষ্ক, ফুসফুস, লিভার ও ত্বকে আক্রমণ করে মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, হার্পস ভাইরাসটি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। রক্তে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কে চলে যেতে পারে। বাচ্চাদের মাঝে এজাতীয় কোনো চিহ্ন দেখামাত্রই দ্রুত বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে।

শিশুর মুখে চুমু হতে পারে প্রাণঘাতী, শিশুর ঠোঁটে চুমু দিলে স্বাস্থ্যঝুঁকি, একটি নবজাতক শিশুর চুম্বন, অসুখ থেকে রক্ষা করতে নবজাতককে চুমু খাবেন না ভুলেও


Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies